ঈদ উপলক্ষে মসলার বাজারে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন কোরবানির ঈদ (ঈদুল আজহা) উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বেড়েই চলেছে মসলার চাহিদা। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফায়দা লুটছেন। যার কারণে মসলার দাম এখন আকাশচুম্বী।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম তুলনামূলক কম থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমদানিকারকরা মসলার দাম বাড়াচ্ছেন। কালিজিরা-এলাচসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা কিনতে ঘাম ঝরছে ক্রেতাদের।
জানা যায়, গত এক মাসে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কালিজিরার। আগের তুলনায় কালিজিরার দাম বেড়েছে আড়াইগুণেরও বেশি। এক মাস আগে কালিজিরা ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে, এখন কেজি ৪২০ টাকা।
এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দেড়গুণ দাম বেড়েছে এলাচের। ভালমানের এলাচ এক মাস আগে ছিল কেজি ১৩২০, এখন তা কেজি ১৭০০ টাকা।
কালিজিরা ও এলাচ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে মসলার মূল্য মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
ছোট এলাচ কেজি ১৩৬০ টাকা, বড় এলাচ কেজি ১৭০০, দারুচিনি কেজি ২৬০-২৮০, জিরা কেজি ৩১০-৩৫০, লবঙ্গ কেজি ১১৫০-১২২০, সাদা গোলমরিচ কেজি ১৫৬০-১৬২০, কালো গোলমরিচ কেজি ১০২০, ধনিয়া কেজি ১২০, আলুবোখারা কেজি ৩৯০, কিশমিশ ২৮০-৩২০ ও কাঠবাদাম কেজি ১০২০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘মসলার বাজার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। শুধু কালিজিরা ও এলাচের দাম কিছুটা বেড়েছে।’
মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমদানিকারকরা মসলার দাম বাড়ালে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
খুচরা পর্যায়ে মসলার দামের হেরফের দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারে খুচরা পর্যায়ে হলুদের গুঁড়া কেজি ১৬০ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া কেজি ১৬০, মরিচের গুঁড়া কেজি ১৭০, জিরার গুঁড়া কেজি ৪০০, গোলমরিচ কেজি ১৫০০, লবঙ্গ কেজি ১৫০০, এলাচ কেজি ১৬০০, তেজপাতা কেজি ২০০, দারুচিনি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মসলার দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ছে। অন্যথায় দাম বাড়বে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ